বুধবার, ২২ জুন, ২০১৬

গরীবের রক্তচোষা সাংসদবৃন্দ ও মূর্খের শাসনব্যবস্থা :-

গরীবের রক্তচোষা সাংসদবৃন্দ ও মূর্খের শাসনব্যবস্থা :-

সম্প্রতি গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন সাংসদরা প্লট ও ফ্ল্যাট দুটোই পাবেন। উনাকে আসলে একপ্রকার বাধ্য করা হয়েছে এই ঘোষণা দিতে।এটা হয়ত ভিতরের খবর, কিন্তু প্রকাশ্যে যে সত্য প্রকাশ হয়েছে সেটা দেখে সাংসদদেরকে জাতীয় ফকির বলে মনে হয়েছে।


গত সোমবার সংসদে প্রস্তাবিত বাজেটের উপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে মন্ত্রী সহজ শর্তে সাংসদদের ফ্ল্যাট নেওয়ার প্রস্তাব করেন। মন্ত্রীর ভাষ্যমতে রাজউকের অধীনে প্রায় এক লাখ এ্যাপার্টমেন্ট নির্মাণ করা হবে। সহজ শর্তে তিনি সাংসদদের এই সুযোগ গ্রহণের প্রস্তাব দেন,যারা গরিবের বা খাস জমি চেয়েছিলেন তাদের প্রতি।


সবথেকে লজ্জার ব্যাপার, সাংসদেরা মন্ত্রীর প্রস্তাব নাকোচ করে দেন ,নো নো বলে, তাদের নাকি প্লট চাই।

কিন্তু প্রশ্ন হলো, সাংসদদের কেন প্লট বা ফ্ল্যাট দিতে হবে?দেশের জমি কি সাংসদদের পৈতৃক সম্পত্তি? 

তাদের রাজউকের অধীনে তৈরী ফ্ল্যাট বা প্লট দিতে হবে কেন? তাদের থাকার কথা তো নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায়।সংসদ অধিবেশনের সময় তাদের থাকার জন্য এমপি হোস্টেল রয়েছেই। 

তাদের এই এমপি হোস্টেলকে না হয় দেশের নামী দামী পাঁচ তারকা হোটেলের থেকেও মডারেট করা হোক, কিন্তু দেশের হাজার হাজার গরীব মানুষ যেখানে বস্তিতে বাস করে, সেখানে দেশের খাস জমির দিকে লোলুপ দৃষ্টি দেওয়া কি কোন বিবেকবান মানুষের কাজ হতে পারে?দেশকে যদি সত্যিই ভালবাসেন, দেশের মানুষকে যদি সত্যিই ভালবাসেন তাহলে সাধারণ জনগণের রক্ত চুষতে পারেন না।


মূর্খের শাসন ব্যবস্থায় মানে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় উন্নয়নশীল দেশগুলোর উন্নতির ক্ষেত্রে বড় অন্তরায় এরকম রক্তচোষা, স্বার্থলোভী জনপ্রতিনিধিরা।আমাদের দেশের সাংসদরা ভোট শেষ হওয়ার পর ডুমুরের ফুল হয়ে যায়, আর জনগণও সেটাকে তেমন গুরুত্ব দেয় না, তাদের যেন এক প্রকার সহ্য হয়ে গেছে। জনগণের মধ্যে আবার চাটুকারিতা মনোভবের অতি আধিক্যতা লক্ষ্য করা যায়। এরকম ধরনের পাবলিক কমনিকেশনে দেশের উন্নতি সুস্থ ধারায় কখনও সম্ভব নয়।


আর হ্যাঁ, মুজীব কোট পরা সাংসদবৃদ্ধ,মনে রাখবেন গায়ে মুজীব কোট জড়ালেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে, চিন্তা ধারা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বুকে ধারণ করা হয় না। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বুকে ধারণ করুন।সেটা পারলে গরীবের রক্তচোষার কথা ভাবতেও লজ্জা পাবেন।


সত্যিকারের দেশপ্রেমিক হতে মুজীব কোট পরা লাগবে না, চেতনাকে বুকে ধারণ করলেই হবে। মুজীব কোর্ট পরার যোগ্যতা অর্জন করে তবেই পরা সমীচীন বলে মনে করি ।

লেখক:-
এস.এম.নাসির উদ্দীন,
শিক্ষার্থী, ফার্মেসী বিভাগ,
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।