সোমবার, ৪ জুলাই, ২০১৬

একজন গুণী মানুষ ও তাঁর ভক্তের কাছে আসার গল্প :-

একজন গুণী মানুষ ও তাঁর  ভক্তের কাছে আসার গল্প :-



২০১৪ সালের শেষের দিকের ঘটনা তখন প্রথম বর্ষের ২য় সেমিস্টারে পড়ি।
পরিচয়ের সূত্রটা এ সময়েই,,তারপরেই তো আসল ঘটনার শুরু। শুধু  ফটোগ্রাফার হিসাবে যাকে চিনতাম, পরিচয়ের পরে ধারণাটা পুরাই পাল্টে যাই ।

যার ব্যক্তিত্বে মুগ্ধ হয়ে সাধারণ ফ্যান থেকে Die Hard Fan এ রুপান্তরিত হতে
বাধ্য হতে হয়।




কিছুদিন পিছনে ফেরা যাক, ভার্সিটিতে ভর্তি হবার পরে, ফেসবুকে  জবির নামে বিভিন্ন পেইজে  ও ক্যাম্পাসের বড় ভাইয়া/আপুরা  বি.এম.সাবাব ভাইয়ের তোলা ছবি আপলোড দিতেন।তখনও উনার সাথে আমার পরিচয় হয় নি।
প্রথম যেদিন যদি তাঁর ছবি দেখি তখনই তাঁর ছবির প্রেমে পড়ে যাই। বিশেষ করে তাঁর HDR (High Dynamic Range) ছবিগুলো বেশী আকর্ষণীয় মনে হত।


এবার আসি মূল ঘটনায় ২০১৪ সালের শেষের দিকে  কোন এক সন্ধ্যায় ভাইয়ের ফেসবুক আইডিটা সামনে আসে। প্রথম প্রথম কয়েকদিন আইডিতে ঘুরি আর কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করি। ভাইয়ের সেলফি আর ক্যাম্পাসের ছোট ভাই /বোনদের নিয়ে পোস্টগুলি দেখে কেমন একটা পাগলাটে স্বভাবের  মনে হত।


প্রথম কয়েকদিন এরকম ভাবে কেটে গেল। মাঝেমধ্যে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট দিতে যেয়েও দিই নি, ভেবেছি এসেপ্ট করবেন না। পরে একদিন সাহস করে দিলাম রিকোয়েস্ট পাঠিয়ে। সাথে একটু বুদ্ধি করে ইনবক্স করলাম ফ্যান হিসাবে।
কয়েকঘন্টার  মধ্যে এসেপ্ট করলেন। ধন্যবাদ দিলাম। আস্তে আস্তে আলাপচারিতা শুরু। ভাবতাম উনি রিপ্লাই দিবেন না, কিন্তু ধারণা পাল্টে গেল, প্রতিটি মেসেজের রিপ্লাই আসতো। যা অকল্পনীয়।


কয়েকমাস আমাদের এরকম চ্যাটে কথা হয়, কিন্তু একই ক্যাম্পাসের হলেও দেখা হয় না। একদিন হঠাৎ করে শান্ত চত্বরে ভাইকে দেখলাম বসা, এহিয়ে যেয়ে সাহস করে নিজের নামটা বলে দিলাম। কয়েকমাসের পর দেখা হওয়ায় বেশ ইমোশনাল হয়ে গিয়েছিলাম, কিন্তু নিজেকে কনট্রোল করি তখন। এখানে বলে রাখা ভাল, ভার্সুয়ালি আমাদের কনটাক্ট হলেও
আমি তখন ভাইকে অনেক কাছের ভাবতে শুরু করি।


যাই হোক আমার গল্পের শুরু এভাবে। এরপর থেকে ক্যাম্পাসে আমরা একসাথে কাটিয়েছি ঘন্টার পর ঘন্টা, মাসের পর মাস।
ভাই বিশাল পরিমাণে এক্সট্রোভার্ট। তাই বেশ ভালই লাগে মিশতে। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাঁর স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ বেশ আনন্দঘন করে তোলে তাঁর ফ্যানদের দিনটাকে।


আস্তে আস্তে ভাইয়ের সাথে কাটিয়েছি প্রায় দুটো বছর। এই সময়ের মধ্যে কাছ থেকে যেটা দেখেছি সেটা আমার কল্পনাকেও হার মানায়।তাঁর ব্যক্তিত্ব সবচেয়ে আকর্ষণীয় মনে হয় তাঁর তৈরী  ছবির মতই।
তিনি যে শুধু ছবি তৈরী করেন তা নয়, তিনি লেখেনও ভাল । তিনি একজন ভাল সংগঠকও বটে।


তাঁর ছবির জন্য অসংখ্য পুরষ্কার পেয়েছেন। বিভিন্ন ওয়াল্ড ফেমাস ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে  আন্তর্জাতিকভাবে তাঁর তোলা ছবি পৌঁছে গেছে পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষের কাছে।



তাঁর এসব গুণাবলী আমাকে বেশী মুগ্ধ করে।আমার ফেসবুকে সবথেকে বেশী চ্যাট হয়েছে বি.এম.সাবাব ভাইয়ের সাথেই। আমি তাঁর সম্পর্কে মোটামুটি জানি।তাঁর স্নেহ সুলভ আচরণ তাঁর প্রতি ভক্তিকে আরও তীব্রতর করেছে।


আপনার ভালবাসায় সিক্ত এই ছোট ভাইয়ের ভুলত্রুটিগুলো সব সময় ধরিয়ে দিবেন দাদা। আজ আপনার জন্মদিনে আমার এই  ছোট করে লেখা গল্পটিতে ভুল কিছু বলে থাকলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন প্লিজ। আপনার উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি, একদিন গ্লোবালাইজেশনের এই যুগে দেশের সীমানা পেরিয়ে বিশ্ব জয় করবেন তেমনটি আশা করি।